BTemplates.com

HTML : Lecture 1: HTML এর সূচনা এবং কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়




HTML
HTML অর্থ হচ্ছে Hyper Text Markup Language অর্থাৎ HTML হচ্ছে এক ধরনের মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। আরও সহজে বলা যাক, সাধারনত Microsoft Word বা Word Pad বা Note Pad ইত্যাদি Text এডিটর দিয়ে ডকোমেন্ট লিখে ইমেজ ইত্যাদি সংযোজন করা যায়। কিন্তু এদের দ্বারা তৈরী কোন ডকোমেন্ট ওয়েবে পাঠানো বা পাবলিশ করার উপযোগী নয়। সুতরাং Text ডকোমেন্টকে  রূপান্তর করে ওয়েব উপযোগী করার জন্য একটি মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ দরকার পরে। HTML হচ্ছে সেই ধরনের মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি ভিজুয়েল বেসিক বা C++ এর মত কোন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়। এটি এক ধরনের Script ল্যাঙ্গুয়েজ। এটি প্রেগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে অনেক সহজ।

ইন্টারনেট
একদিন হয়তো বলবো, ‘আর্ন্তজাল’। এ মুহূর্তে, ইন্টারনেট ধরে নিয়ে বলবো..... ইন্টারনেট যে কাজটি করতে যাচ্ছে তা হলো কাগজবিহীন বিশ্ব গড়া এবং পৃথিবীকে একটি তারের মধ্যে একত্রিত করা। Email আর WWW (World Wide Web) এর কারণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে কাগজের এবার বিদায়ের পালা।
 আচ্ছা!  ‘আপনি কি একজন নেটিজেন (Netizen)? প্রশ্নটি হয়তো অনেককেই ভাবিয়ে তুলবে। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনি কি একজন সিটিজেন (Citizen)? সহজ উত্তর, ‘অবশ্যই, বাংলাদেশের সিটিজেন ’। নেটিজেন হলো সেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারী যার একটি ইন্টারনেট Account আছে।
ইন্টারনেটের কারনে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ আজ তার নিজ নিজ পেশা সর্ম্পকে প্রয়োজনীয় সব ধরনের জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে, ব্যবসায়ীরা অতি অল্প সময়ে এবং অল্প খরচে ও সহজে তাদের তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে। গবেষকরা পারছে সহজে ও চাওয়ামাত্র বিশ্ব জ্ঞানভান্ডার থেকে জ্ঞান ও তথ্য সংগ্রহ করতে। শিক্ষার্থীরা অন-লাইন শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্বের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে ডিগ্রী নিতে পারছে ঘরে বসেই।

ইন্টারনেট-এর সুচনা
১৯৬৯ সালে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দফতর (DOD), Advance Research Projects Agency Network (ARPAnet) চালু করে । কম্পিউটার নেটওয়ার্কের জগতে এটিই প্রথম। তখন একটি কম্পিউটার ছিল California এবং অপর তিনটি ছিল Utah তে। বিষয়টি শুরুতে প্রতিরক্ষার সাথে যুক্ত থাকলেও পরে আমেরিকান মিলিটারী বিভিন্ন গবেষণাগার ও বিশ্ববিদ্যালয়কে এটি ব্যবহারের অনুমতি দেয়, যেটা আজকের এই ইন্টারনেট।

ইন্টারনেট
ইন্টারনেট হচ্ছে একধরণের প্যাকেট সুইচিং প্রোগ্রাম। ছোট ছোট ডাটা প্যাকেট তৈরির মাধ্যমে এখানে ডাটা আদান প্রদান করা হয়। এক্ষত্রে কিছু অভ্যন্তরীণ নিয়ম-নীতিও তৈরি হয়েছে এগুলোকে বলে ‘‘কমিউনিকেশন প্রটোকল’’। এরূপ ২টি প্রটোকল হলো: 1. UUCP     2. TCP/IP.
UUCP (UNIX to UNIX Copy Program) দিয়েই ইন্টারনেট প্রথম কাজ শুরু  করে। এর মাধ্যমে ডাটা, ভয়েস ও গ্রাফিক্স ইত্যাদি সকল ধরনের তথ্যই আদান-প্রদান করা যায়।
TCP/IP (Tramission Control Protocol/Internet Protocol) পদ্ধতিতে তথ্য পাঠাতে হলে শুধুমাত্র প্রাপকের ঠিকানা দরকার হয়।

ই-মেইল
E-mail এর অর্থ ইলেকট্রনিক মেইল (Electronic mail)। ই-মেইলে ব্যবহৃত বিভিন্ন ওয়েব সাইটের নাম হলোঃ pobox.com, email.com, hotmail.com এবং roketmail.com ইত্যাদি। ই-মেইলের কাজ হচ্ছে  এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বা ফ্যাক্স মেশিনে তথ্য পাঠানো। বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে যে কোনে টেলিফোনে বা ফ্যাক্সে প্রতি মিনিটে ১০০ টাকার মতো খরচ হয়। সেখানে ই-মেইলে খরচ হয় মাত্র ২/৩ টাকা। ইন্টারনেটে সংযোগ স্থাপন করে দেশে কিংবা বিদেশে যে কোন ঠিকানায় E-mail পাঠানো যায়।
টেলিফোনে কথা বলতে হলে যেমন একটা নম্বর দরকার তেমন E-mail এর মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করতে চাইলে একটি E-mail ঠিকানা দরকার। user name@Domain name দিয়ে এ ঠিকানা তৈরি হয়। যেমনঃ bappi@novacomputerbd.com একটি E-mail ঠিকানা। E-mail ঠিকানার মাঝে @ চিহ্ন দিয়ে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথম ভাগে অর্থাৎ @ চিহ্নের আগের অংশে user name এবং পরের ভাগে Domain name থাকে, আর এ ডোমেইন নেম (.) চিহ্ন দ্বারা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত থাকে। @ চিহ্নের পরের প্রথম শব্দটিকে ‘‘হোস্ট মেশিন নেম’’ বলা হয়। উক্ত ঠিকানায় novacomputerbd হলো ‘‘হোস্ট মেশিন নেম।’’ হোস্ট মেশিন নেম-এর পরে শব্দটি দিয়ে বুঝা যাবে প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের। যেমনঃ- .com দ্বারা Commercial বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে বুঝায়। নিচের টেবিলটি লক্ষ্য করুনঃ-
Abbreviations
Represents
edu
Educational institutions
mil
Military sites
gov
Government departments
net
Networking organizations
com
Commercial organizations
int
International organizations
org
Professional societies

TCP/IP
ইন্টারনেটের সাথে আপনার কম্পিউটারের সংযোগ থাকার জন্য আপনার মেশিনে TCP/IP ইনস্টল করা থাকতে হবে। সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে TCP/IP সংযুক্ত থাকে। TCP অর্থ হচ্ছে Transmission Control Protocol এবং IP অর্থ হচ্ছে Internet Protocol. একথা বলাই বাহুল্য যে, ইন্টারনেটের জন্য আপনার কম্পিউটার (Clint) এবং মাঝে প্রচুর ডাটা সম্বলিত সার্ভার (Server) থাকতে হবে এবং টেলিফোন, ব্রডব্যান্ড বা রেডিও লিংক লাইন দ্বারা ClintServer সংযুক্ত থাকতে হবে। ডাটা আদান প্রদানের সময় TCP-র কাজ হলো, ডাটা ভেরিফিকেশন করা। কাজেই ডাটা প্রেরণের সময় কোন তথ্য হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে, TCP পুনরায় সেটিকে প্রেরণ করে। এভাবে সর্ম্পূণ কাজ সমাধান না হওয়া পর্যন্ত TCP সেটিকে প্রেরণ করতে থাকে। আর ডাটা প্যাকেটকে এক Node থেকে অন্য Node-এ পরিচালনার কাজটি করে IP। এটি ডাটা প্যাকেট কে নির্দিষ্ট পথ নির্দেশ করে দেয়।

Web Browsing করা
ইন্টারনেটে Browing মানে হচ্ছে  ‘‘এক ওয়েব পেজ থেকে অন্য ওয়েব পেইজে ভ্রমণ করা।’’ ইন্টারনেটের মাধ্যমে Web Browing করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সার্ভারে রাখা ওয়েব পেজসমূহ দেখা ও তথ্য সংগ্রহ করা যায়। আমরা এখানে Netscape Navigator সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে কিভাবে Web Browing করা যায় তা আলোচনা করব। কোন Web Page ওপেন করতে চাইলে প্রথমে ইন্টারনেট কানেকশন করতে হবে।
এরপর ডেক্সটপ থেকে Netscape Navigator-এর আইকনে ডবল ক্লিক করুন। Web Page এর ঠিকানা লেখার জন্য একটি ডায়ালগ বক্স আসবে। তার Location ঘরে কোন একটি Web Page এর ঠিকানা লিখে Enter করুন। এখন দেখা যাবে Status Bar- এ একের পর এক Web Side Found, Waiting for Reply, Connect to host ইত্যাদি লেখা আসছে। অতপর কম্পিউটারে ডাটা আসা শুরু  হলে Status Bar- ডানে নীল রং এর বার বাড়তে থাকে এ দেখা যাবে কত পার্সেন্ট ডাটা ওপেন হচ্ছে। এখন টুলবারের Forward বাটনে ক্লিক করলে পরবর্তী পৃষ্ঠায় এবং Back বাটনে ক্লিক করে পূর্ববর্তী পৃষ্ঠায় যাওয়া যাবে। একেবারে শুরুতে ফিরে আসতে চাইলে Home বাটনে ক্লিক করতে হয়। কোন Link এর উপর কার্সর আসলে সেটা হাতের মতো দেখাবে, তখন সেই Link এর উপর ক্লিক করলে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে। ওয়েব পেজ আসার পর এটিকে ডাউন লোড করে পরে অফ লাইনে বসেও ব্রাউজিং করতে পারেন।

Search Engines
কোনো ব্যবহারকারীর পক্ষেই জানা সম্ভব নয়, পৃথিবীর কোন প্রান্তে কোন বিষয়ের উপর তথ্য জমা আছে। ব্যবহারকারীকে সাহায্য করার জন্য Web-এ ব্যাপারে খুঁজে দেখার ব্যবস্থা রয়েছে। কাজটি ২টি উপায়ে করা যায়। প্রথমতঃ Toolbar থেকে Search বাটনে ক্লিক করে; এবং দ্বিতীয়তঃ Location-এর ঘরে কোন Search Engine এর ঠিকানা টাইপ করে।
Search Engine হল এমন কিছু ওয়েব পেজ যেগুলো কী ওয়ার্ড অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিষয়টি খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এরূপ কিছু Search Engine হলোঃ infoseek.com, yahoo.com, Altavista.com, Webrawker.com, Excite.com, Goole.com ইত্যাদি। আসুন Netscape Navigator অথবা Internet Explorer-এর মাধ্যমে যে কোন একটি Search Engine এর ব্যবহার দেখি। এক্ষেত্রে আমরা yahoo.com নিয়ে আলোচনা করবো।

Clint কম্পিউটার
ওয়েব ব্রাউজ করার জন্য আপনার দুইটি মেশিন দরকার। একটি হচ্ছে আপনার কম্পিউটার বা Clint কম্পিউটার অপরটি হচ্ছে অপর প্রান্তে রক্ষিত বিশাল ডাটাসম্ভার ও প্রচুর ওয়েব পেজ ইত্যাদি সম্বলিত অপর প্রান্তের কম্পিউটার বা Server কম্পিউটার। এছাড়াও দুইটি কম্পিউটারের মধ্যে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এই সংযোগ টেলিফোন লাইন অর্থাৎ ডায়াল আপ লাইন অথবা রেডিও লিংক লাইন দ্বারা হতে পারে। এছাড়া Internet Explorer, Natescape Navigator বা Opera ইত্যাদি, যে কোন একটি ওয়েব ব্রাউজার থাকতে হবে। এটি সর্ম্পূন হলেই আপনার কম্পিউটারটি হচ্ছে Clint কম্পিউটার।

Server কম্পিউটার
Clint কম্পিউটার বা ব্যবহারকারীর কম্পিউটারের অপর প্রান্তের মূল ডাটা সম্বলিত কম্পিউটারটি সার্ভার কম্পিউটার। Server মেশিনেও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। এছাড়াও মেশিনে ওয়েব সার্ভার প্রোগ্রাম ইনস্টল থাকতে হবে। সাধারণত ISP বা Internet Service Provider রা Server স্থাপন করে থাকেন। ISP প্রত্যেক ব্যবহারকারীকে একটি ওয়েব অ্যাড্রেস দিয়ে থাকেন, যা দিয়ে অন্যরা ব্যবহারকারীর সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন। ব্যবহারকারীর ওয়েব ডকোমেন্টকে ওয়েব সার্ভার সংরক্ষন করে থাকে।
ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের ব্রাউজার (ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা নেটস্কেপ নেভিগেটর ইত্যাদি) দ্বারা যে কোন ওয়েব পেজকে প্রদর্শিত করার অনুরোধ সার্ভারকে জানানো হয়। এরপর সার্ভারটি HTTP (Hyper Text Transfer Protocol) নামের একটি প্রোটোকল ব্যবহার করে ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের ওয়েব পেজটি সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া সার্ভার আরও কয়েকটি গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে, যেমন-ক্লায়েন্ট যে পেজের URL (Uniform Resourse Locator) বা ফাইল নেম, পাথ ইত্যাদি দিয়ে থাকেন, সার্ভারে রক্ষিত অসংখ্য ওয়েব পেজ থেকে সেটিকে খুঁজে বের করার কাজটিও করে থাকেন সার্ভার। আবার মনে করুন একটি ভুল ওয়েব পেজের অ্যাড্রেস ব্যবহার করা হলো-এক্ষেত্রে সার্ভার চেক করে প্রয়োজনীয় error ম্যাসেজ পাঠিয়ে থাকে। বর্তমানে অধিকাংশ ওয়েব পেজেই গ্রাফিক্স, এনিমেশন, অডিও এবং ভিডিও ক্লিপ সংযুক্ত থাকে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট CGI প্রোগ্রামটি লোড এবং রান করানোর দায়িত্ত্বটিও সার্ভার নিয়ে থাকে।

HTTP
HTIP-র অর্থ হলো Hyper Text Transfer Protocol এটি এমন একটি প্রোটকল যার মাধ্যমে সার্ভার এবং ক্লায়েন্ট কম্পিউটারের মধ্যে ডাটা আদান-প্রদান হয়ে থাকে। আগেই বলেছি ওয়েব সার্ভারে বিভিন্ন ধরনের প্রচুর ওয়েব পেজ সংরক্ষিত থাকে। এখান থেকে আবার সারা পৃথিবীতে অবস্থিত বিভিন্ন ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন ভাষাভাষী এবং বিভিন্ন অপারেটিং সিষ্টেম ব্যবহারকারীরা প্রয়োজনীয় ওয়েব পেজের জন্য সার্ভারকে অনবরত অনুরোধ পাঠাতে থাকে। সার্ভারটি চলে কিছু কিছু সফ্টওয়্যার প্যাকেজের মাধ্যমে, যা ক্লায়েন্টের অনুরোধ বুঝতে পারে। সার্ভারটি সফ্টওয়্যার ক্লায়েন্টের অনুরোধ অনুসারে প্রয়োজনীয় ফাইল পাঠিয়ে দেয়। অপর দিকে ক্লায়েন্ট কোন ওয়েব ব্রউজার (ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার, নেটস্কেপ নেভিগেটর ইত্যাদি) সফ্টওয়্যারের মধ্যমে সার্ভারকে নির্দিষ্ট ইনফরমেশনের জন্য অনুরোধ করে থাকে। এই ডাটা নেওয়া দেওয়ার পদ্ধতিই হচ্ছে প্রোটকল। HTIP হলো মূলত Request Responce টাইপের প্রোটোকল। Client ইনফরমেশনের জন্য অনুরোধ পাঠাবে এবং Server সেই অনুরোধ অনুসারে সারা দিবে, এটি হচ্ছে HTIP.

প্যাকেট সুইচিং পদ্ধতি
এই পদ্ধতিতে ডটিা বা ইনফরমেশনকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে নেওয়া হয়। সামান্য কয়েক KB ডাটা বা তারচেয়েও ছোট অংশকে প্যাকেট বলা হয়। অপর প্রন্তে পৌছানোর পর আবার একত্র হয়ে একটি ফাইলে রূপান্তরিত হয়। অপর প্রন্তে পৌছানোর পর আবার একত্র হয়ে একটি ফাইলে রূপান্তরিত হয়। প্যাকেট ধারাবাহিক ভাবে একই পথে না গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন পথেও যেতে পারে। যদি কোন প্যাকেট মাঝে নষ্ট হয় বা হারিয়ে যায় হবে অপর প্রান্তে রক্ষিত কম্পিউটার হারানো ডাটাকে আবার পাঠাতে বলে। এই পদ্ধতিতে একইসাথে একাধিক ব্যবহারকারীর ডাটা পাঠানো যেতে পারে। এতে মুল ফাইলের পাশাপাশি ডাটা কোথা থেকে এসেছে, কোন পথ হয়ে এসেছে, কোথায় যাচ্ছে ইত্যাদি সমস্ত ইনফরমেশন থাকে। ডাটা কমপ্রেস বা এনক্রইপটেড এর সুবিধাও এই পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে।

URL
URL এর অর্থ হচ্ছে Uniform Resourse Locator অর্থাৎ এটি দিয়ে কোন ফাইল বা ইনফরমেশনের সঠিক ঠিকানাটি অর্থাৎ নাম, লোকেশন ইত্যাদি সনাক্ত করা হয়। লোকেশনের নির্দিষ্ট পাথ-ই হচ্ছে URL ওয়েব পেজের ক্ষেত্রে প্রোটোকল, হোষ্টনেম ও ডাইরেক্টরী ও ফাইল নেম, এই তিন অংশ দিয়ে URL দেওয়া হয়। আমরা ইতিমধ্যেই HTTP প্রোটোকল নিয়ে আলোচনা করেছি। এছাড়াও- ইত্যাদি প্রটোকল রয়েছে। প্রোটোকল হচ্ছে ডকোমেন্ট আদান-প্রদানের পদ্ধতি, হোষ্টনেম হচ্ছে সার্ভারের ঠিকানা। URL এর স্টাকচারটি হচ্ছে নিমণরূপ:
         
Protocol://Hostname/File & Directory Name
Http://Java.Sun.Com/Documentation.
যেমন-
প্রোটোকলটি যদি Gopher বা ftp হয় তবে স্ট্রাকচারটি হবে নিম্নরুপ:
            ftp://Java.Sun.Com/Documentation.
লোকাল ফাইলের ক্ষেত্রে প্রোটকল হবে file://

Home Page
যে কোন ওয়েব পেজের প্রথম পৃষ্ঠাকেই বলা হয় Home Page. এই পেজটিকে ব্রাউজার শুরুতেই লোড করে। মূলত: হোম পেজ হচ্ছে এক ধরনের Index বা সুচী। একটি পাঠ্য বইয়ের যেমন সুচী থেকে প্রথমে বইটি সম্বন্ধে ধারনা নেওয়া যায় এবং পরবর্তীতে কাঙ্খিত অধ্যায়ে গিয়ে বিস্তারিত জানা যায় Home Pageও সেরকম। Home Pageটি মূলত খুবই আকর্ষনীয় করে করা হয়। এই পেজে মূল প্রোগাম, ব্যানার, এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে এবং মেনু তৈরী করে অনান্য পেজের সাথে লিংক তৈরি করা থাকে। সংশ্লিষ্ট লিংকে ক্লিক করলে ঐ বিষয় সংক্রান্ত আরেকটি পেজ খুলে যায়। সেই পেজ থেকে আবারও অনান্য লিংক পেজে যাওয়া যায় অথবা Home Page এ ফিরে আসা যায়। এভাবে এক লিংক থেকে অন্য লিংকে ভ্রমন বা ব্রাউজিং করা যায়। হোম পেজটির মাধ্যমেই ওয়েবে আপনার তথ্য পাবলিশ করা হয়ে থাকে একং Home Page টিই হচ্ছে আপনার ওয়েবের প্রবেশের প্লাটফর্ম। নিচে yahooHome Page টি দেওয়া হলো।

HTML লেখা ও দেখা
HTML-এ সরাসরি ইমেজ, অডিও, ভিডিও বা এনিমেশন সংযোজন না করে একটি লিংক তৈরী করা হয়। ইদানিং যে কোন টেক্সট এডিটর, এমনকি Photoshopএর মত গ্রাফিক্স সফ্টওয়্যার থেকেও ডকোমেন্টকে সরাসরি HTML-এ রূপান্তরের ব্যবস্থা রয়েছে। টেক্সট ডকোমেন্টের থেকে HTML ডকোমেন্ট অবিশ্বাস্য রকমের ছোট হয়।  যার কারনে Net-এর ভিতর দিয়ে তথ্য দ্রুতও সহজে প্রেরণ করা সম্ভব। সুতরাং HTML হচ্ছে মার্কআপ ল্যাঙ্গুয়েজ এবং এটি ছোট ও সহজ হবার কারনে যে কেউ শিখতে পারে। এটা শেখার জন্য কোন Programming জ্ঞান দরকার হয় না, HTML লেখা হয় Tag  ব্যবহার করে, খুব অল্প সংখ্যক Tag স্মরন রেখেও যে কেউ HTML ব্যবহার করে ওয়েব পেজ তৈরী করতে পারে। অতি দ্রুত আমরা ওয়েব পেজ তৈরী করবো। এখান থেকেই বুঝবেন HTML-টি কত সহজ একটি ব্যাপার।

Editor
HTML লেখার জন্য যে কোন একটি টেক্সট এডিটর লাগবে যেমন Wordpad, Notepad, Notepad ++, MS-Word, MS-Front Page, Adobe Dreamweaver, Macromedia ColdFusion Microsoft Expression Web, CoffeeCup, HTML Editor  ইত্যাদি। আমরা Notepad ব্যবহার করে কোডিং লেখা শিখবো, কোডিং লেখা শেষে ফাইলের মূল নামের পর একটি ডট (.) দিয়ে html বা htm লিখতে হয়। অর্থাৎ ফাইল নেমটি যে কোন নামের হতে পারে কিন্ত Extension Name হবে .html (ডট এইচটিএমএল)  বা .htm (ডট এইচটিএম)।

Browser

HTML ফাইল তৈরীর জন্য যেমন একটি টেক্সট এডিটর লাগবে, তেমনি দেখার জন্য ব্রাউজার লাগবে। Windows এর সাথে যেমন Notepad এডিটরটি দেওয়া থাক তেমনি Internet Explorer ব্রাউজারটি দেওয়া থাকে। এছাড়া যে কোন ব্রাউজার সংগ্রহ করে  আপনার  মেশিনে ইনষ্টল করে নিতে পারেন- যেমন:  Mozila Firefox, Opera, Google Chrome, Safari, See Monkey, Comodo Dragon ইত্যাদি। ব্রাউজার দিয়ে HTML ফাইলটি Open করলেই ওয়েব পেজটি দৃশ্যমান হবে।